নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তারল্য বাড়াতে ৩৪টি ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সোমবার বিএসইসির পক্ষ থেকে বিশেষ তহবিলের অবস্থা সম্পর্কে জানতে ৩৪টি ব্যাংককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩০টি ব্যাংক রয়েছে। বাকি চারটি হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক। ব্যাংকগুলোকে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য ৭দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বাকি ব্যাংকগুলোকেও চলতি সপ্তাহে চিঠি দেওয়া হবে। বিএসইসি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট দূর করতে তফসিলি ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ বাড়ানোর সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিটি ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। এতে করে ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা সত্ত্বেও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেনি ব্যাংকগুলো। গত ২ ফেব্রুয়ারি এই ফান্ড গঠনের নির্দেশনা জারি করার পর মাত্র ৭/৮টি ব্যাংক তহবিল গঠনের কথা জানালেও এই তহবিল থেকে বাস্তবে কত টাকা বিনিয়োগ হয়েছে তা প্রকাশ করেনি। অন্যদিকে বাকি ব্যাংকগুলো গত পাঁচ মাসে তহবিল গঠনেরই উদ্যোগ নেয়নি।
সূত্র জানিয়েছে, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে। বিশেষ করে তহবিল গঠন ও এর অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার বিষয়ে ব্যাংকগুলোর অবস্থান জানতে চেয়েছে বিএসইসি।
উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারে তফসিলি ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ বাড়ানোর সুযোগ করে দিতে আলোচিত তহবিল সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে, প্রতিটি তফসিলি ব্যাংক সর্বোচ্চ ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করার কথা রয়েছে। একাধিক প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা যাবে। ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত যে কোনো তফসিলি ব্যাংক রেপোর মাধ্যমে এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। এক্ষেত্রে সুদ পরিশোধ করতে হবে মাত্র ৫ শতাংশ।